পরিচিতি
আল-কুর্আনুল কারীমের হিফয কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই আল-কুর্আনের মূল উদ্দেশ্যকে পূরণ করতে ব্যর্থ। পবিত্র গ্রন্থ আল-কুর্আন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
“এক মুবারক কিতাব, এটা আমরা আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াত সমূহ গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা গ্ৰহণ করে উপদেশ।” (সুরা 38 সাদ: ২৯)
আর তাই, হিফযুল কুর্আনে এক বৈচিত্র আনার লক্ষ্য নিয়ে ‘মাদ্রাসাতুল ইলম’ যাত্রা শুরু করে ২০১৯ সালে। মাদ্রাসাতুল ইলম এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
বই এর পাশাপাশি দেয়ালে টাঙানো TV Screen এ Powerpoint Presentation ও Video এর মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয় আরবী পড়তে পারার যোগ্যতা, যাকে নূরানী শিক্ষা বলা হয়ে থাকে। এ বিষয়ক মাদ্রাসাতুল ইলম এর কিছু Powerpoint Presentation এই সাইট এর Study Materials থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। গোটা কুর্আন পড়তে পারার যোগ্যতাকে বলা হয় নাযেরা শিক্ষা। নূরানী ও নাযেরা এ দুই-ই পরিচালনা করেন মাদ্রাসাতুল ইলম এর অভিজ্ঞ হিফয উস্তাজ। নূরানী ও নাযেরা শিক্ষারত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবাসিক বা অনাবাসিক যেকোন সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
মাদ্রাসাতুল ইলম এর আবাসিক বোর্ডিং এ থেকে হিফযুল কুর্আন কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
অনেক হাফিযকেই দেখা যায় কুর্আন ভালোভাবে হিফয করলেও তিলাওয়াত ত্রুটিপূর্ণ। আর তাই মাদ্রাসাতুল ইলম এই বিষয়ে বিশেষ নযর দেয়। নূরানী, নাযেরা ও হিফয কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সহীহ তিলাওয়াতের জন্য অভিজ্ঞ উস্তাজ দ্বারা নিয়মিত মশক করানো হয়। পাশাপাশি বাচ্চাদের TV Screen এ বিশ্ববিখ্যাত ক্বারী ‘আইমান সুয়াইদ’ এর তিলাওয়াত শুনিয়ে অনুশীলন করানো হয় নিয়মিত।
মাদ্রাসাতুন ইলম এর অন্যতম আকর্ষণ আরবী ভাষা শিক্ষা দান করা। এক্ষেত্রে মাদ্রাসাতুন ইলম এর লক্ষ্য:
কুর্আন হিফয এর পাশাপাশি অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আধুনিক ভাষা কারিকুলাম ‘লিন-নাশিঈন’ পাঠ দান করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও ত্বলিবুল ইলমদের শিখানো হয় অনেক আরবী শব্দ। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় উন্নত বই ও Powerpoint Presentation। এ বিষয়ক মাদ্রাসাতুন ইলম এর কিছু Powerpoint Presentation এই সাইট এর Study Materials থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
কুর্আন হিফয শেষে কোনো ত্বলিবুল ইলম যেনো দ্বীনি বা সাধারণ শিক্ষার যে কোনো ক্ষেত্রে যোগদান করতে পারে, তাই হিফয কার্যক্রমের পাশাপাশি চলে এই সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম। মাদ্রাসাতুন ইলম এ ক্ষেত্রে জাতীয় এবতেদায়ী কারিকুলাম অনুসরণ করে থাকে। রয়েছে PSC পরিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ। অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা মাদ্রাসাতুল ইলম এ এসে কুর্আন তিলাওয়াত ও আরবী ভাষা শিক্ষা করতে পারবে।