পাঠ্যক্রম
মাদরাসাতুল ইল্ম মূলত একটি হিফয মাদ্রাসা। তবে ‘হিফয’ শুরু করার পূর্বেই প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীকে একই সাথে দুটি পাঠ্যক্রম সফলভাবে সমাপ্ত করতে হয়। পাঠ্যক্রম দুটির একটি হচ্ছে: দ্বীনিয়াত শিক্ষা পাঠ্যক্রম, এবং অপরটি: সাধারণ শিক্ষা পাঠ্যক্রম।
দ্বীনিয়াত শিক্ষা পাঠ্যক্রম
- “শুধু কুর্আন হিফয-ই নয়, শিশু বয়স-ই দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের উপযুক্ত সময়” এই পটভূমিতেই রচিত ‘মাদরাসাতুল ইলম’ এর ‘দ্বীনিয়াত শিক্ষা পাঠ্যক্রম’;
- ‘শিশু থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট পাঁচটি শ্রেণি এই পাঠ্যক্রমের আওতাভুক্ত;
- প্রতিটি শ্রেণির ব্যাপ্তিকাল আনুমানিক আট মাস;
- কার্যক্রমটি মূলত ‘নূরানি ও নাযেরা’ বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য;
- দ্বীনিয়াত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে একজন ছাত্র/ছাত্রী যা যা অর্জন করবে (ইন শা-আল্লাহ)-
- শেষ দুই পারা কুর্আন হিফয
- ২০০ ছোট ছোট ও ছন্দময় হাদীস হিফয
- ‘হিসনুল মুসলিম’ থেকে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু দু’আ হিফয
- আককীদাহ, আদব ও ফিকহ এর জরূরী কিছু জ্ঞান
- আরবী ভাষার উপর প্রাথমিক দক্ষতা
- একজন ছাত্র/ছাত্রী ‘দ্বীনিয়াত পাঠ্যক্রম’ সফলভাবে সমাপ্তির মাধ্যমে ‘হিফয বিভাগে’ উত্তীর্ণ হতে পারবে;
- শিক্ষক নিজস্ব দ্বীনি চেতনার আলোকে দ্বীন শিক্ষাকে মুখস্থ নির্ভর না করে প্রয়োগিকভাবে ছাত্র/ছাত্রীর কাছে পাঠ উপস্থাপন করবেন, এ-ই ‘মাদরাসাতুল ইলম’ এর প্রত্যাশা।
সাধারণ শিক্ষা পাঠ্যক্রম
- “সৃষ্টিকে জানার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কিছুটা ধারণা লাভ করা” এ-ই ‘মাদরাসাতুল ইলম’ এর ‘সাধারণ শিক্ষা পাঠ্যক্রম’ এর মূল উদ্দেশ্য;
- তাছাড়া, যোগ্য নাগরিক হয়ে দ্বীন ও সমাজকে নেতৃত্ব দিতে, পাশাপাশি আল্লাহর রিযিক অনুসন্ধানের যোগ্যতা অর্জনে এ পাঠ্যক্রমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য;
- প্রি-স্কুল থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছয়টি শ্রেণি এই পাঠ্যক্রমের আওতাভুক্ত;
- প্রতিটি শ্রেণির ব্যাপ্তিকাল আনুমানিক আট মাস;
- কার্যক্রমটি শুধুমাত্র ‘নূরানি ও নাযেরা’ বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য;
- প্রতিষ্ঠানের কোনো ছাত্র/ছাত্রী যখন ‘হিফয বিভাগে’ উত্তীর্ণ হবে তখন কর্তৃপক্ষ তার জন্য কার্যক্রমটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পারে;
- এ পাঠ্যক্রম মূলত ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ (NCTB) ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ এর বইগুলোর আলোকে প্রণীত। তবে, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বই ও প্রেসেন্টেশন যেখানো প্রযোজ্য মনে হয়েছে তা পাঠ্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে;
- শিক্ষক ও অভিভাবক নিজস্ব চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে মুখস্থ নির্ভর না করে প্রয়োগিকভাবে ছাত্র/ছাত্রীর কাছে পাঠ উপস্থাপন করবেন, এ-ই ‘মাদরাসাতুল ইলম’ এর প্রত্যাশা।